কারিগরী শিক্ষা বোর্ড অনুমোদিত সাইক (SAIC) ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি (SIMT)সর্ববৃহৎ প্রাইভেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট(Private Institute)। প্রযুক্তির দ্রুত বিস্তারের সাথে মানসম্মত শিক্ষার সমন্বয় না ঘটলে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে উঠে না। আর দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনশক্তি গড়তে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব অনেক। সময়ের বিবর্তন আর প্রযুক্তির উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী কারিগরি শিক্ষার (Technical Education) চাহিদা বাড়ছে। সাইক (SAIC) ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি সেই চাহিদা পূরণে সচেষ্ট। আন্তরিক চেষ্টা ও দৃঢ় মনোবল নিয়ে ২০০২ সালে মাত্র ১ টি টেকনোলজি নিয়ে যাত্রা শুরু করে সাইক ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট এন্ড টেকনলজি (SIMT)।
পৃথিবীতে উন্নত রাষ্ট্রগুলো ক্রমেই উন্নত হচ্ছে এবং উন্নয়নশীর রাষ্ট্রগুলো উন্নতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। রাষ্ট্র উন্নয়ন বলতে বুঝায় সে দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামো, যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নয়ন এব ইমারতগুলোর উন্নয়ন।
তথ্য প্রযুক্তি বর্তমান বিশ্বকে গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত করেছে। কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং আপনাকে সামিল করবে এই কম্পিউটার প্রযুক্তিবিদদের প্রথম সারিতে। এই কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং হবে অবারিত কম্পিউটার সম্পর্কীত কর্ম ক্ষেত্রে প্রবেশের আপনার প্রথম চাবিকাঠি।
বিজ্ঞানী ভোল্টা কর্তৃক Electricity আবিস্কারের পর থেকেই মূলতঃ আধুনিক সভ্যতার যাত্রা শুরু। Electricity ছাড়া আমাদের জীবন যেমন অচল, Electrical Technology ছাড়াও পৃথিবী তেমনি অচল। ফলে Electrical Technology এর চাহিদা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মানব সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকে শুরু হয়ে আধুনিক উন্নয়নের ধারক মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। এই টেকনোলজিতে অত্র প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারিক সকল উপকরণ সমূহ পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকায় তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক ক্লাসের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় একজন যোগ্য মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে এবং বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে চাকুরীসহ আত্নকর্মসংস্থান ও উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের রয়েছে সুবর্ণ সুযোগ।ড অ্যাকাডেমিক পরিবেশে অবস্থিত অত্র বিভাগের শিক্ষার্থীরা দক্ষ প্রকৌশলী হিসেবে গড়ে ওঠে নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকদের সযত্ন পরিচর্যায়।
বিশ্বায়নের এই যুগে বিদ্যুৎ হচ্ছে সকল কিছুর প্রাণ। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে যখন টেলিগ্রাফি ও বিদ্যুৎ শক্তির ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে তখন থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর আত্নপ্রকাশ ঘটে। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারগণ তথ্য আদান-প্রদান ও শক্তি সঞ্চালনের জন্য বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে। সাইক ইন্সটিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট এন্ড টেকনোলজি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে। একজন শিক্ষার্থীকে দক্ষ প্রকৌশলী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সাইক ইন্সটিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট এন্ড টেকনোলজি -এর ইলেকট্রিক্যাল বিভাগে রয়েছে আধুনিক ব্যবহারিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স ল্যাব, ইলেকট্রিক্যাল মেশিন ল্যাব, মাইক্রোপ্রসেসর ও মাইক্রোকন্ট্রোলার ল্যাব, ইকেট্রিক্যাল মেজারমেন্ট ল্যাব ও পাওয়ার সিস্টেম ল্যাব। মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম সম্বলিত আইসিটি বেজ্ড অ্যাকাডেমিক পরিবেশে অবস্থিত অত্র বিভাগের শিক্ষার্থীরা দক্ষ প্রকৌশলী হিসেবে গড়ে ওঠে নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকদের সযত্ন পরিচর্যায়।
ড্রয়িং হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ভাষা। আর্কিটেকচার শব্দের বাংলা আভিধানিক অর্থ স্থাপত্যবিদ্যা বা স্থাপত্যকলা। এটি এমন একটি কলা কৌশল যার মাধ্যমে আর্কিটেক্ট সুনির্দিষ্ট স্থাপত্য বিষয়ক দিকগুলো বিবেচনা করে শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গিকে কাজে লাগিয়ে সমস্ত নকশা প্রণয়ন করেন। সাইক ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি-এর আর্কিটেকচার টেকনোলজির রয়েছে আধুনিক ব্যবহারিক যন্ত্রপাতি। উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে মর্যাদাপূর্ণ এই টেকনেঅলজিতে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আর্কিটেক্টদের বিভিন্ন কনস্ট্রাকশন ফার্ম , ডেভেলপার কোম্পানি ও স্থাপত্য অধিদপ্তরসহ সরকারড অ্যাকাডেমিক পরিবেশে অবস্থিত অত্র বিভাগের শিক্ষার্থীরা দক্ষ প্রকৌশলী হিসেবে গড়ে ওঠে নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকদের সযত্ন পরিচর্যায়।
টেক্সটাইল ইর্য়ান মূলত অবিরাম দৈর্ঘ্যের এমন এক পদার্থ যা ফাইবার /ফিলামেন্টের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়। এরপর নিটিং, উইভিং, ফিনিশিং ইত্যাদি প্রক্রিয়া পেরিয়ে ফেব্রিক অথবা নানারকম টেক্সটাইল পণ্যে পরিণত হয়। তবে ইয়ার্ন প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম উভয়ই হতে পারে। নানা রকম পরিস্থিতিতে মানুষ তার নিজ প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের গঠনগত পরিবর্তন এনে ইয়ার্নকে কৃত্রিম বা সিন্থেটিক ইয়ার্নে পরিণত করেছে। এমন কিছু কৃত্রিম ইয়ার্নের মধ্যে নাইলন, পলিস্টার, অ্যাক্রিলিক ইত্যাদি অন্যতম। এছাড়াও বহুল ব্যবহৃত কিছু প্রাকৃতিক ইয়ার্ন এর মধ্যে কটন, সিল্ক, উল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। চলতি কথায় থ্রেড ও ইয়ার্নকে একই মনে হলেও এদের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। যেমন: একাধিক ফাইবার স্পিনিং করে ইয়ার্ন তৈরি করা হয়, কিন্তু দুই বা ততোধিক ইয়ার্ন শক্ত করে পেঁচিয়ে থ্রেড তৈরি করা হয়। ইয়ার্ন থ্রেডের তুলনায় কম শক্তিশালী, অন্যদিকে থ্রেড ইয়ার্নের তুলনায় অধিক শক্তিশালী। ইয়ার্নের ওজন থ্রেডের তুলনায় বেশি, অপরদিকে থ্রেড ওজনে ইয়ার্নের তুলনায় হালকা।
ফাইবার হতে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ইয়ার্ন প্রস্তুত করার পর ঐ ইয়ার্ন দ্বারা উইভিং এর মাধ্যমে ওয়ার্প এবং ওয়েফটের ইয়ার্নে পরষ্পর বন্ধন তৈরী করে, লুপের সাহায্যে মানুষের পরিধেয় এবং প্রয়োজনীয় ব্যবহারের যে সকল দ্রব্য উৎপাদিত হয় তাকে ফেব্রিক বা গার্মেন্টস বলে।
উইভিং থেকে প্রাপ্ত কাপড় বা টেক্সটাইল সামগ্রী ওপর পানি ও বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ সহযোগে কয়েকটি পর্যায়ক্রমিক ধাপ সম্পন্ন করে, ব্যবহার উপযোগী কাপড় তৈরী করার যে পদ্ধতি সেটাই হলো ওয়েট প্রসেসিং। টেক্সটাইল প্রসেসিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে ওয়েট প্রসেসিং । কারন এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাপড় ব্যবহার উপযোগী করে তোলা হয় এবং কাপড়ের গুনগত মান পরীক্ষা করা হয় ।
বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও বিশ্বায়নের যান্ত্রিক যুগে পরিবহন ও যোগাযোগে অটোমোবাইল একটি তাৎপর্যপূর্ণ টেকনোলজি। মোটরযান সম্পর্কিত সকল তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক এবং ড্রাইভিং ইত্যাদি বিষয়সহ ইঞ্জিনের খুঁটিনাটি সবকিছুই এই টেকনোলজিতে সংযুক্ত করা হয়েছে। ব্যবহারিক যন্ত্রাংশসহ সকল প্রশিক্ষণ উপকরণ আমাদের প্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান। বিআরটিসি, বিআরটিএ, বিআইডি্িবলউটিসি সহ বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিজ এবং গাড়ী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ছাড়াও অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারদের দেশে-বিদেশে এবং সরকারি/বেসরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকুরির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। আর চাকরি বাজারের এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সাইক ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে চার বৎসর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন অটোমোবাইল টেকনোলজি প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে। দেশের ও বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্ এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানে বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শিক্ষক মন্ডলীও নিয়োজিত রয়েছেন। ডিজিটাল অধ্যায় রচনার মাধ্যমে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানে সাইক ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি-এর অটোমোবাইল টেকনোলজি বিভাগ বদ্ধ পরিকর। ডিজিটাল অধ্যায় রচনার মাধ্েড অ্যাকাডেমিক পরিবেশে অবস্থিত অত্র বিভাগের শিক্ষার্থীরা দক্ষ প্রকৌশলী হিসেবে গড়ে ওঠে নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকদের সযত্ন পরিচর্যায়।
Industrial Engineering হল সেই প্রকৌশল বিদ্যা যা মানুষের সাথে জড়িত সকল ফ্যাক্টর, উৎপাদন নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং তা সরবরাহ ও বিতরণে ভূমিকা পালন করে থাকে, এই industrial Engineering ই হল অ্যাপারেল ম্যানুফেকচারিং এর নতুন ধারণা।
আধুনিক বিশ্বে পরিবহন খাতের আয়ের শতকরা ৫৪ ভাগ আসে নৌ পরিবহন খাত থেকে। নৌ পরিবহনের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে জাহাজ। জাহাজ পরিচালনার জন্য দক্ষ মেরিন ইঞ্জিনিয়ার প্রয়োজন। দক্ষ মেরিন ইঞ্জিনিয়ার গড়ার লক্ষ্যে মেরিন টেকণোলজি কোর্স প্রবর্তন হয়। অত্র প্রতিষ্ঠানে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সম্পর্কে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে। মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করার পর একজন সনদ প্রাপ্ত ডিপ্লোমা মেরিন ইঞ্জিনিয়ার অভ্যন্তরীন ও সমুদ্রগামী জাহজে ক্যাডেট ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকুরীর যোগ্যতা অর্জন করবে। দেশে সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিপইয়ার্ড, ডকইয়ার্ড ও বিদেশে শীপইয়ার্ড এ যথেষ্ট চাকুরির সুযোগ রয়েছে।
ক্যারিয়ার নিয়ে যারা চিন্তিত কিংবা যারা নতুন পথে ক্যারিয়ার গড়তে চান তাদের কাছে চাকরির বাজারে শিপবিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং অনেকটা নতুন। তবে এটি বাংলাদেশের জন্য বেশ পুরনো।
জলযান বা জাহাজের স্ট্রাকচার, নতুন ডিজাইন ও ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট, নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কাজগুলোই হচ্ছে শিপ বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ।